ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আত্মসমর্পণের পর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৪
আত্মসমর্পণের পর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ কারাগারে

ঢাকা: এক যুগ আগে রাজধানীর গুলশান থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন।

আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

এদিন সকালে হুইল চেয়ারে করে আদালতে এসে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এ সময় তার সমর্থকরা স্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।  

এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর হাফিজসহ তিনজনকে ২১ মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত। বয়স ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় তাদের দেড় বছর ও তিন মাসের দণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই মামলায় আরও পাঁচজনকে দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় মোট ৪২ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ১১ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।  

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ৪ জুন সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে গুলশান থানার মহাখালী ওয়্যারলেস গেট পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তার ওপর অবৈধ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাজে বাধা এবং আক্রমণ করেন আসামিরা। রাস্তায় চলাচলরত গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান তালুকদার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালীন ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২৪
কেআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।