ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এএসপি আনিস হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৪
এএসপি আনিস হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু  ফাইল ফটো

ঢাকা: সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে প্রথম দিনে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।  

সোমবার (১১ মার্চ) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী ও নিহতের বাবা ফাইজুদ্দীন আহমেদ।

পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৯ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সালাউদ্দিন হাওলাদার এ তথ্য জানান।

এর আগে গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল-আমিন।

আসামিদের মধ্যে অসীম কুমার পাল কারাগারে এবং সাখাওয়াত হোসেন পলাতক রয়েছেন। বাকি ১৩ আসামি জামিনে রয়েছেন।

২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম নাসির উল্যাহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। এরপর মামলাটি বদলি হয়ে বিচারের জন্য এ আদালতে আসেন।

চার্জশিটে মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক মুহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদ মৃত্যুবরণ করায় তাকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। এছাড়া যাকে ঘিরে পুনঃতদন্তের আদেশ আসে সেই ডা. নুসরাত ফারজানার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালের কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে আনিসুল করিমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন।

গত ৮ মার্চ এ মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা।

তবে এ মামলায় এজাহারে ডা. নুসরাত নামে একজনকে আসামি করা হয়নি। মামলা দায়েরের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিলেও চার্জশিটে তার নাম আসেনি। এএসপি আনিসের পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার সঙ্গে জড়িত না হলে কেন তিনি আগেই জামিন নেবেন। এজন্য মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন আনিসের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। পরে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৪
কেআই/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।