পাবনা: পাবনার সাঁথিয়ায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আরমান হোসেন (২৭) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আরমান সাঁথিয়ার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের মিয়াপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ খানের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আরমান হোসেন বিভিন্ন সময় এক স্কুলছাত্রীকে (ভুক্তভোগী) প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। তার সেই প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় মেয়েটিকে রাস্তাঘাটে হুমকি-ধামকি দিতেন। নিরাপত্তাজনিত সমস্যায় ভুক্তভোগী এক পর্যায়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু গ্রাম প্রধানদের আশ্বাসে সে ফের স্কুলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এমন সময় ২০২২ সালের ১৯ জুন সকাল ৯টার দিকে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে স্কুলের দিকে যাচ্ছিল। সে সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা যুবক আরমান তাকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করেন। পরে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েটির সন্ধান না পেয়ে থানায় বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনার চারদিন পর ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২০২৩ সালের শেষের দিকে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গঠন হয়। ২০২৪ সালের ২১ মার্চ রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন, পাবনা জজকোর্টের বিশেষ পিপি খন্দকার আব্দুর রকিব। তিনি বলেন, মামলার দুই বছরের মাথায় রায় ঘোষণা হওয়ায় আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। যাবজ্জীবন সাজা হওয়াতে বাদী ন্যায়বিচার পেয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নুরুজ্জামান নোমান বলেন, এ মামলায় যাবজ্জীবন সাজা দেওয়াতে আমার মক্কেল ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে, উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। আপিলে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৪
এসআরএস