ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দ্বীপ উন্নয়ন আইন করতে সংসদকে হাইকোর্টের পরামর্শ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৪
দ্বীপ উন্নয়ন আইন করতে সংসদকে হাইকোর্টের পরামর্শ নিঝুম দ্বীপ | বাংলানিউজ ফাইল ছবি

ঢাকা: দ্বীপ সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সম্মত টেকসই উন্নয়নের জন্য জাপান ও ফিনল্যান্ডের আইনের আদলে একটি আইন দ্রুত করতে জাতীয় সংসদকে পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়াও কৃষিজমি রক্ষায় ২০১৬ সালে উদ্যোগ নেওয়া আইন অতি দ্রুত পাস করতেও পরামর্শ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

নওগাঁর মান্দা উপজেলার চককানু এলাকার জনৈক মিজানুর রহমানের পুকুর খনন বন্ধ প্রশ্নে দায়ের করা এক রিটের রায়ে এমন পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

২০২২ সালের ৬ জুন দেওয়া রায়ের ১৫ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে।

রায়ে আদালত বলেছেন, ফসলি জমিতে পুকুর খননের বিধিনিষেধ আরোপ করে ‘কৃষি জমি সুরক্ষা ও ব্যবহার আইন, ২০১৬’  খসড়া আইন প্রণয়ন করা হলেও কোনো এক অজানা কারণে এটি এখনো আলোর মুখ দেখছে না।

খসড়া আইনটি রায়ে উল্লেখ করে আদালত বলেন, বাংলাদেশের কৃষি জমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড় ইত্যাদি সুরক্ষার জন্য আইনটি দ্রুত জাতীয় সংসদ কর্তৃক পাশ হওয়া অতি আবশ্যক। জাতিসংঘের একটি অঙ্গসংগঠনের প্রতিবেদনের আলোকে আমরা আমাদের দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা করতে পারলে পরিবেশ এবং প্রতিবেশ সম্পর্কিত বিপর্যয় মোকাবিলা করতে সক্ষম হব।

দ্বীপ সংরক্ষণ বিষয়ে উচ্চ আদালত বলেন, দ্বীপ সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সম্মত টেকসই উন্নয়নের জন্য পৃথিবীতে প্রথম জাপান ‘রিমোট আইল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’ নামে একটি আইন ১৯৫৩ সালে প্রণয়ন করে। পরবর্তীতে সংশোধিত আইনটি জাপানের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছে।

আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে মোদি সরকার দ্বীপ উন্নয়নের গুরুত্ব অনুধাবন করে ২০১৭ সালে ‘আইল্যান্ডস ডেভেলডমেন্ট এজেন্সি’ নামে একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করে দ্বীপের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। তাই আমাদের দ্বীপ সমূহের উন্নয়নের জন্য দ্বীপ উন্নয়ন আইন দ্রুত আইন করা প্রয়োজন।

আদালত কৃষি জমি সংরক্ষণে আইনটি অতি দ্রুত আইন আকারে পাস করার জন্য জাতীয় সংসদকে পরামর্শ দেন। এছাড়াও জাপান ও ফিনল্যান্ডের প্রণীত আইন যতটুকু সম্ভব অনুসরণ ও সমন্বয় করে আমাদের দেশের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি ‘দ্বীপ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠনের জন্য ‘দ্বীপ উন্নয়ন আইন’ দ্রুত প্রণয়নের জন্য জাতীয় সংসদকে পরামর্শ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বজলুর রশিদ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আশেক মোমিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট লাকী বেগম ও ফেরদৌসী আক্তার।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৪
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।