ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

উজিরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
উজিরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

বরিশাল: বরিশালের উজিরপুরে কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের মামলার আসামি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ দুই আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বরিশালের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হয়ে মামলার ৫ আসামি জামিন চান।

জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাহফুজুর রহমান দুইজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে আইনজীবী মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন।

কারাগারে যাওয়া মো. শাহিন হাওলাদার উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। অপরজন হলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই ইলিয়াস হাওলাদার। চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার সাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। জামিন পাওয়া মামলার তিন আসামি হলেন, সোহেল হাওলাদার, কাইয়ুম ও শাওন ভাট্টি।

মামলার বরাতে অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান জানান, সাতলা ইউনিয়নের পশ্চিম সাতলা গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিস হাওলাদারের মাছের ঘের, পোল্টি খামার, ফিড, মেডিসিন ও কীটনাশকসহ বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। ইদ্রিস হাওলাদার পশ্চিম সাতলা গ্রামে নতুন একটি মাছের ঘের করার কাজ শুরু করেন। তখন ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারের নেতৃত্বে আসামিরা এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় বিভিন্ন সময় হুমকি দেয়। গত ১৬ মার্চ গভীর রাতে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র, কেরোসিন ও পেট্রল নিয়ে মাছের ঘেরে হামলা করে। তারা ঘেরে বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল কুপিয়ে ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নষ্ট করে। খবর পেয়ে হামলাকারীদের ধাওয়া করলে তারা ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মাইক্রোবাস উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ১৮ মার্চ বাদী হয়ে ইদ্রিস হাওলাদার উজিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলার আসামি হিসেবে উচ্চাদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেয়। জামিন শেষে পাঁচ আসামি আদালতে হাজির হলে দুইজনকে কারাগারে পাঠিয়ে তিনজনের জামিন মঞ্জুর করেন। মামলায় নামধারী অন্য সাত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।