ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ফেসবুকে বিচারককে নিয়ে বিষোদগার, আইনজীবীকে পেশা পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২৪
ফেসবুকে বিচারককে নিয়ে বিষোদগার, আইনজীবীকে পেশা পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা ফাইল ফটো

ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও বিচার বিভাগ নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলামকে তলব করেছেন আপিল বিভাগ।

আগামী ২৯ আগস্ট তাকে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

এ সময় পর্যন্ত তাকে আইন পেশা পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ফেসবুকে থাকা তার বক্তব্য অবিলম্বে অপসারণ করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবীর করা আদালত অবমাননার শুনানি নিয়ে রোববার (৯ জুন) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করীম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

পরে আইনজীবী আহসানুল করীম সাংবাদিকদের বলেন, বিচার বিভাগ নিয়ে যে কটূক্তি করেছিল এবং যে বক্তব্য দিয়েছে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। যে এ বক্তব্য দিয়েছে পেশা পরিচালনা থেকে তাকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ডিবার্ড (নিষেধ) করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট তাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হতে হবে। আর যে বক্তব্য ফেসবুকে দিয়েছে সেগুলো রিমুভ করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগেও এ আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তখন কোর্ট মহানুভবতার সঙ্গে তাকে ক্ষমা করে দেন এবং ভবিষ্যতে এ রকম না করার জন্য সাবধান করে দেওয়া হয়েছিল। তখন তিনি লিখিত দিয়েছিলেন। এখন এ প্রতিশ্রুতি ভেঙে আবার এ রকম করেছেন।  

দীর্ঘদিন ধরে আইনজীবী মো. আশরাফুল ইসলাম আশরাফ বিচার বিভাগ, বিচারপতিদের নিয়ে ক্রমাগতভাবে আদালত নিয়ে অবমাননামূলক বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তার বিরুদ্ধে কয়েকজন আইনজীবী আদালত অবমাননার আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ তলব করেছেন। একইসঙ্গে আগামী ২৯ আগস্ট পর্যন্ত তাকে আইন পেশা পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

এর আগে ২০২১ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন এ আইনজীবী। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ওই বছরের ১৫ জুলাই আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম আশরাফের ফেসবুক পোস্টটি আপিল বিভাগের নজরে আনেন। এরপর আদালত তাকে তলব করে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে তাকে আইন পেশা থেকে বিরত থাকতে এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) আইনজীবী আশরাফের ওই ফেসবুক পোস্ট অপসারণ করার নির্দেশ দেন।

পরে তিনি আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন ভার্চ্যুয়াল আপিল বেঞ্চ সে ক্ষমার আবেদন গ্রহণ করে তাকে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। একইসঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেন।

আরও পড়ুন: নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন আইনজীবী আশরাফ

আরও পড়ুন: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২৪
ইএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।