ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ঝালকাঠিতে হত্যার দায়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনের যাবজ্জীবন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৪
ঝালকাঠিতে হত্যার দায়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনের যাবজ্জীবন 

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নে সাইদুল ইসলাম নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আসামিদের উপস্থিতিতে বুধবার (১২ জুন) দুপুরে ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন-মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন (৪০), তার ভাই দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার (৪৫), ভাগ্নে সাঈদুল ইসলাম (৩০) ও ফারুক মল্লিক (৪৫)।  

কবির হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন নলছিটি উপজেলার দক্ষিণ কামদেবপুর গ্রামের মৃত মোকিম হাওলাদারের ছেলে। ফারুক মল্লিক পশ্চিম কামদেবপুর গ্রামের সুলতান মল্লিক ও সাইদুল ইসলাম খান মধ্য কামদেবপুর গ্রামের মনিরুল খানের ছেলে।  

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মান্নান রসুল রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালতের নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ দুপুর ১টায় নাচনমহল ব্রিজের ঢালে নলছিটি উপজেলার নাচনমহল গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ তালুকদারের ছেলে সাইদুল ইসলাম তালুকদারকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই সময় সাইদুলের বোন আকলিমা বেগম ও ভাগ্নে রুম্মানকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় নিহত সাইদুলের বাবা আব্দুল আজিজ তালুকদার (৮৫) বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে নলছিটি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝালকাঠি সিআইডি পুলিশের সেই সময়ের পরিদর্শক মং চেনলা ২০২০ সালের ২৮ মার্চ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  

সিআইডি পুলিশ অভিযোগপত্রে উল্লেখ করে, সাইদুল ও আসামি কবির হোসেন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিলেন। এক সময় সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন হাওলাদার ও সাইদুল একসঙ্গে নানা অপকর্ম করতেন। কবির হোসেনের ছত্রছায়া থেকে সাইদুল বের হয়ে গেলে কবির হোসেন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।  

আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বুধবার চারজনকে সাজা দেন আদালত। আর অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি ১০ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন কবির।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।