ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩১, ১৮ জুন ২০২৪, ১০ জিলহজ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

আইডিয়ালের মুশতাক অব্যাহতি পাবেন কি-না, আদেশ ৪ জুলাই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৪
আইডিয়ালের মুশতাক অব্যাহতি পাবেন কি-না, আদেশ ৪ জুলাই

ঢাকা: কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সহযোগী অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী অব্যাহতি পাবেন কি-না, সে বিষয়ে আদেশ হবে আগামী ৪ জুলাই।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীর বাবা ও মামলার বাদীর করা নারাজি আবেদনের শুনানি হয়।

এরপর এ বিষয়ে আদেশের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলী আগামী ৪ জুলাই দিন ধার্য করেন।

গত ১৪ মার্চ এই মামলায় পিবিআই পুনঃতদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) দাখিল করে। সেই প্রতিবেদনেও খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।

এরআগে, ২০২৩ সালের ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে নেওয়ার আদেশ দেন।

এরপর দুই আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ করে প্রথম দফায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক সোহেল রানা।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়নি এবং কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগও প্রমাণ হয়নি। মামলা দায়েরে তথ্যগত ভুল রয়েছে। তাই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

এরপর গত বছর ১৪ নভেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-৮ এ বদলির আদেশ দেন। সেই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেন বাদী। বাদীর দেওয়া নারাজি আবেদনের শুনানি শেষে গত ১৪ মার্চ মামলা পুনঃতদন্তের জন্য পিবিআইকে আদেশ দেন আদালত।

মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে (ভিকটিম) মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ভিকটিমকে ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে নিতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে তিনি ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন। কয়েকদিন পর অভিযুক্ত মুশতাক ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবেন বলে হুমকি দেন। ভিকটিম এ রকম আচরণের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। অধ্যক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে মুশতাককে তার রুমে নিয়ে আসেন এবং ভিকটিমকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে অভিযুক্তকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।

এ বিষয়ে বাদী প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি অধ্যক্ষ বরং অভিযুক্ত মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করেন তিনি। বাদী উপায় না পেয়ে ওই বছর ১২ জুন ভিকটিমকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে গেলে অভিযুক্ত মুশতাক তার লোকজন দিয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর বাদী জানতে পারেন তিনি ভিকটিমকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছেন এবং যৌন নিপীড়ন করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৪
কেআই/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।