ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ড. ইউনূসের অর্থ পাচার মামলা স্থগিত চেয়ে ২ জনের আবেদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪১ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৪
ড. ইউনূসের অর্থ পাচার মামলা স্থগিত চেয়ে ২ জনের আবেদন

ঢাকা: নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ অভিযোগ গঠনের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন দুই আসামি।

আইনজীবী জাফরুল হাসান শরীফ ও আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী বুধবার (২৬ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন।

আবেদনে মামলার কার্যক্রম বাতিলে রুল ও অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

আবেদনটি বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মো. আলী রেজার অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য উঠার পর চলতি সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করেছেন।

আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও আইনজীবী গোবিন্দ বিশ্বাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন জানান, এখন অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচার কাজ চলছে। মূলত  আবেদনটি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবেদনকারী পক্ষ জানিয়েছে আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।

দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে গত বছরের ৩০মে মামলাটি করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।

১২ জুন ওই মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন। সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৫ জুলাই দিন ধার্য করা হয়।

এ অবস্থায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা নিয়ে মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ হাইকোর্টে আবেদন করেন।

আবেদনে ওই মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল হবে না এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল জারি করা হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় মামলার পরবর্তী সব কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

আবেদনে রাষ্ট্র ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে প্রতিপক্ষ করা হয়েছে।

দুই আইনজীবী ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ড.মুহাম্মদ ইউনূস, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, সাবেক এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান এবং গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মাইনুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৪
ইএস/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।