ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গুলশান থানার এসআই হাফিজুরের নামে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৪
গুলশান থানার এসআই হাফিজুরের নামে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা 

ঢাকা: নির্যাতনের অভিযোগে গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমানের নামে একটি মামলা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মোর্শেদ মঞ্জুর নামে এক ব্যক্তি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেনের আদালতে এ মামলা করেন।

মামলায় ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনের ৪/৫/৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মামলার অভিযোগে বাদী নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠত ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করেন। তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রামে তার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি পূর্ব পরিচিত বিদিশা সিদ্দিকার কাছ থেকে একটি জাগুয়ার প্রাইভেট কার ৩৯ লাখ টাকায় ক্রয় করেন। গাড়ির টাকাসহ নাম পরিবর্তন বাবদ আরও এক লক্ষ পঁচানব্বই হাজার পরিশোধ করেন।

কিন্তু বিদিশা সিদ্দিকা মিথ্যা তথ্য দিয়ে গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে একটি মামলা করেন। সে মামলায় বিগত ২০ এপ্রিল অনুমান সন্ধ্যা ৭টার সময় ডিবি পুলিশ তাকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানায় নিয়ে আসে। সেখানে গাড়ি উদ্ধারের নামে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই হাফিজুর রহমান গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে মানসিকভাবে নির্যাতনসহ শারীরিকভাবে কিল, ঘুষি এবং লাঠি দিয়ে মারধর করে নিলা ফুলা জখম করেন। এ সময় তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ক্রসফায়ারে হত্যা করার হুমকি দেন।  

অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, একপর্যায়ে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতনের সময় ছবি ধারণ করে বিভিন্নজনের কাছে পাঠানো হয়। মারধরের কথা আর কাউকে না বলতে হুমকি দেন। একপর্যায়ে আমাকে কালো রঙের একটি ইলেকট্রিক মেশিনের মাধ্যমে শক দিলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। শারীরিক ও মান নির্যাতনের কারণে দৈনন্দিন তিনি স্বাভাবিক কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৪
কেআই/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।