ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

উপ-নির্বাচনে আটক কর্মকর্তাদের ঠাঁই হলো কারাগারে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৪
উপ-নির্বাচনে আটক কর্মকর্তাদের ঠাঁই হলো কারাগারে 

বরিশাল: বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে এক মেয়র প্রার্থীর কাছ থেকে গ্রহণ করা ঘুষের টাকাসহ আটক এক প্রিসাইডিং ও দুই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও গৌরনদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইদুর রহমান বাদী হয়ে মামলা মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে ওইদিন দুপুরে আটকদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।  

এজাহারে বাদী সাইদুর রহমান উল্লেখ করেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জানতে পারি, পৌরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ও গৌরনদী বন্দর সোনালি ব্যাংকের ম্যানেজার মো. সাইদুর রহমান, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও গৌরনদী জাতীয় মহিলা সংস্থার কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার ভদ্র এবং সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার উত্তর কান্ডপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ভোটের আগের দিন মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে মোবাইলফোন প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এইচএম জয়নাল আবেদীনের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন।  

বিষয়টি জানার পরে ভোট চলাকালীন বুধবার আমি এবং বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মো. আলাউদ্দিন, বরিশাল জেলা সিনিয়র অতিরিক্ত নির্বাচন অফিসার ও উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অহিদুজ্জামান মুন্সী, কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো. আব্দুল কাইয়ুম একদল পুলিশ নিয়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্তদের একটি কক্ষে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তারা ঘুষ গ্রহণের কথা স্বীকার করেন।  

স্বীকারোক্তিতে আসামিরা বলেন, গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মোবাইলফোন প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এইচএম জয়নাল আবেদীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌরমেয়র মো. হারিছুর রহমান ও  উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ হোসেন মুন্সী রাতে ভোটকেন্দ্রে এসে বকশিসের কথা বলে তাদের আট হাজার টাকা দিয়েছেন। একপর্যায়ে ঘুষের টাকা বের করে দিলে পুলিশ টাকা জব্দ করে করেন।

গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি,তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, দায়েরকৃত মামলায় আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এজাহারের মধ্যে আরও তিনজনের নাম রয়েছে। তদন্তে তাদের জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোবাইলফোন প্রতীকের পক্ষে প্রার্থী ও তার উল্লেখিত ওই দুই সহযোগী ভোটগ্রহণের আগের দিন রাতে বিভিন্ন কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারদের টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এরমধ্যে গেরাকুল বেগম আখতারুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রাত সাড়ে ১১টার দিকে টাকা দিতে আসেন হারিছুর রহমানসহ তার সহযোগিরা। তখন দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ওই কেন্দ্রে উপস্থিত হলে হারিছুরসহ তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৪
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।