চাঁদপুর: চাঁদপুর শহরের রহমতপুর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা কোহিনুর বেগমকে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তিন মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৩০ জুন) বিকেলে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এ রায় দেন।
হত্যার শিকার কোহিনুর রহমতপুর আবাসিক এলাকার প্রবাসী আব্দুল মান্নান খানের স্ত্রী।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওই এলাকার ভুঁইয়া বাড়ির আলমগীর হোসেন ফারুকের স্ত্রী নাজমা আক্তার নয়ন (৪২) এবং একই বাড়ির আবদুর রশিদের ছেলে রফিক ওরফে দেন্ধা রফিক।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, নাজমা আক্তারের কাছে কোহিনুর বেগম নগদ পাঁচ লাখ টাকা পেতেন। দীর্ঘদিন ধরে টাকা না দেওয়ায় ২০১৫ সালের ২২ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাজমার বাড়িতে টাকার চাইতে যান কোহিনুর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাজমা ও তাদের বাড়ির রফিক ধারালো দা’ দিয়ে কুপিয়ে এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে কোহিনুরকে হত্যা করেন। এ ঘটনার পরদিন ২৩ আগস্ট চাঁদপুর সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন কোহিনুর বেগমের আপন ভাই আবদুল মালেক মোহন।
মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ রানা শামীমকে। তিনি নাজমা আক্তার নয়ন ও রফিককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন এবং ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল তাদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী জানান, মামলাটিতে ১৫ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত। আসামিদের স্বীকারোক্তি, সাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় রোববার এ রায় দেন আদালত। আসামিরা পলাতক।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. রফিকুল ইসলাম।
হত্যার শিকার কোহিনুর বেগমের বোন বিউটি বেগম জানান, বোনকে তো আর ফিরে পাওয়া যাবে না। কিন্তু আদালত যে রায় দিয়েছেন, তাতে আমার পরিবার ও বোনের স্বামী এবং সন্তানরা সন্তুষ্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৪
এসআই