ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

চাঁপাইনবাবঞ্জে পৃথক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৪
চাঁপাইনবাবঞ্জে পৃথক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক হত্যা ও অস্ত্র মামলায় নাসিম আলী ও জাহিরুল ইসলাম নামে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

সেই সঙ্গে নাসিমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

অপরদিকে অস্ত্র মামলায় জাহিরুলকে পৃথক অপর এক ধারায় আরও সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, জাহিরুলকে যাবজ্জীবন দণ্ড ভোগের পর সাত বছরের দণ্ড ভোগ করতে হবে।

রোববার (৩০ জুন) চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র দায়রা জজ হিসেবে হত্যা মামলার ও সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক হিসেবে অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণা করেন মোহা. আদীব আলী।  

আসামিদের মধ্যে নাসিম জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার তর্তিপুর আলীডাঙ্গা গ্রামের মো. সেসরুলের ছেলে। তিনি রং মিস্ত্রি জিয়াউর রহমান টকিন হত্যার দায়ে দণ্ডিত। উপজেলার টকিন তর্তিপুরের মানিরুল ইসলামের ছেলে।  

আর জাহিরুল জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের নন্দলালপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলাম কুলুর ছেলে।

রাষ্টপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নাজমুল আজম হত্যা মামলার ব্যাপারে বলেন, ২০১৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাতে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার জন্য বাড়ির কাছে টকিনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন নাসিম ও তার এক কিশোর সহযোগী।  

পরদিন শিবগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন টকিনের বাবা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু আবদুল্লাহ জাহিদ ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর ওই দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। ১৮ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানি শেষে আদালত অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় নাসিমকে এ সাজা দেন আদালত। আর কিশোর আসামির বিচার শিশু আদালতে চলছে। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শফিক এনায়েতুল্লাহ।

অস্ত্র মামলার ব্যাপারে পিপি বলেন, ২০২২ সালের ৩১ মে রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‌্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দুটি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন ও ছয় রাউন্ড গুলিসহ গোমস্তাপুরের বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সড়গ্রাম বালিকা বিদ্যালয় এলাকা থেকে জাহিরুল আটক করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন গোমস্তাপুর থানায় র‌্যাবের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক আকরামুল হক জাহিরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন।  

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোমস্তাপুর থানার সেই সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস ২০২২ সালের ৩০ জুন বিক্রির উদ্দেশ্যে বেআইনি অস্ত্র হেফাজতে রাখায় একমাত্র জাহিরুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। নয়জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানি শেষে আদালত জাহিরুলকে দোষি সাব্যস্ত করে সাজা দেন। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট রেজাউল আহসান রহিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।