ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মুরাদনগরে ব্যবসায়ী হত্যা: চার আসামির মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৪
মুরাদনগরে ব্যবসায়ী হত্যা: চার আসামির মৃত্যুদণ্ড

কুমিল্লা: কুমিল্লার মুরাদনগরে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুর ১২টায় এ রায় দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা. ফরিদা ইয়াসমিন।

এ তথ্য জানিয়েছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত কৌঁসুলি রফিকুল ইসলাম।  

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মুরাদনগর উপজেলার উত্তর ত্রিশ এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মো. রফিক মিয়া, দেবিদ্বারের মাধবপুর এলাকার ইউনুস মিয়ার ছেলে মো. নাজমুল শিকদার, ভিংলাবাড়ি এলাকার চান মিয়ার ছেলে মো. মান্নান মিয়া ও রাজু মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া।

হত্যাকাণ্ডের শিকার যুবকের নাম ফারুক আহমেদ। তিনি মুরাদনগর উপজেলার উত্তর ত্রিশ এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামিরা উপস্থিত ছিলেন না।

আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন মুরাদনগর উপজেলার উত্তর ত্রিশ এলাকার ফারুক আহমেদ। ৭ ডিসেম্বর স্থানীয় একটি বালুর মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পরিবার। ফারুক আহমেদের কোম্পানীগঞ্জ বাজার একটি কাপড়ের দোকান ছিল। তার চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলাম তার কাছ প্রায় তিন লাখ টাকা ধার নেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরেও রফিক সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। যে কারণে ফারুক প্রায়শই তার কাছে টাকা চাইতেন। একবার রফিকের ভগ্নিপতি মান্নান মিয়ার সামনে টাকা চাইলে ক্ষিপ্ত হয় রফিক। মান্নান ও রফিক পরিকল্পনা করে আরেক ভগ্নিপতি সুমনকে খবর দেয়। পরে তারা তিনজন পাশের দেবিদ্বার উপজেলার পরিচিত নাজমুল সিকদারকে ভাড়া করে। ৫০ হাজার টাকা চুক্তি করে চারজনে ফারুককে টাকা ফেরত দেবে বলে ডেকে আনে। পরে স্থানীয় একটি মাঠে তাকে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে মরদেহ বালিচাপা দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার ৫ দিন পর অর্ধগলিত মরদেহ পেয়ে পরিবার শনাক্ত করে। এ ঘটনায় রফিকের ভগ্নিপতি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করেন।  

নিহতের বাবা মো. মোস্তফা বলেন, ১১ বছর পর আমার ছেলে হত্যার বিচার পেয়েছি। আমার তিন ছেলে ছিল। এই ছেলেটা আমার বেশি আদরের ছিল। তাকেই খুন করল আমার আত্মীয়-স্বজনরা। আমি এমন কিছু ভাবিনি। প্রথমে নিখোঁজ জিডি করি। মামলাও অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে করি। তদন্ত কর্মকর্তা না বের করলে আমি বিশ্বাস করতে পারতাম না পাওনা টাকার জন্য বলায় আমার ছেলেকে হত্যা করেছেন তারা। যে উপকার করল তাকেই হত্যা করা হয়েছে। এখন আমার একটাই দাবি, রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক।  

আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আশাবাদী হাইকোর্ট রায় বহাল রাখবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।