ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘নিখোঁজ’ ছাত্রদল নেতা আতিকুরের অবস্থান জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৪
‘নিখোঁজ’ ছাত্রদল নেতা আতিকুরের অবস্থান জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ আতিকুর রহমান রাসেল

ঢাকা: ‘নিখোঁজ’ ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান রাসেলের অবস্থান জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অবিলম্বে পুলিশের মহাপরিদর্শককে এ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।

রাসেলের বাবার করা এক হেবিয়াস কর্পাস রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১৪ জুলাই) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

আতিকুরের বাবা আবুল হোসাইন সরদার ১০ জুলাই হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

রুলে আতিকুরকে অবৈধভাবে হেফাজতে রাখা হয়নি, এটা সন্তুষ্ট করতে তাকে কেন হাজির করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত।

রুলের বিবাদীরা হচ্ছেন, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি). লালবাগ জোনের কমিশনার, লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলার প্রশাসক।

একটি জাতীয় দৈনিকে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ‘আট দিন ধরে নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিক’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিটটি দায়ের করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আট দিন আগে নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান রাসেলের খোঁজ পাওয়া যায়নি এখনো। তার পরিবার সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ, হাসপাতাল, র‍্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা—সব জায়গায় খোঁজ নিয়েছে। কোথাও তার হদিস নেই। তবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, আতিককে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। তিনি গোয়েন্দা হেফাজতে আছেন।

পুরান ঢাকার আজিমপুর অগ্রণী স্কুলের সামনে থেকে ১ জুলাই আতিকুর রহমান নিখোঁজ হন। গত আট দিনে আতিকের সন্ধানে তার বাবা, দুই বোন পাগলপ্রায়। নিখোঁজ আতিকুর রহমান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি। হঠাৎ করে কেন তার এ নিরুদ্দেশ, তা নিয়ে সংগঠনে চলছে নানা আলোচনা।

আতিকুর রহমানের বোন তানিয়া আক্তার বলেন, নিখোঁজ হওয়ার দিন সন্ধ্যা ৬টায় ভাইয়ার সঙ্গে বাবার শেষ কথা হয়। আমার বাসায় আসার কথা ছিল ভাইয়ার। আসতে দেরি হওয়ায় বাবা ফোন দেওয়ার পর দেখা যায় ফোন বন্ধ। আর কোনো খবর নেই। গত তিন দিন হঠাৎ তার ফোন অনলাইনে দেখা যায়। অনেকবার ফোন করে ও মেসেজ পাঠিয়েও কোনো রেসপন্স নেই।

আতিকুর রহমানের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, তাদের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নে। তিনি রাজধানীর লালবাগে একটি ভাড়া বাসায় মেস করে থাকতেন। তার দুই বোনও ঢাকায় থাকেন। আতিকের মা নেই। আতিক নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন মেয়ের বাসায় এসেছিলেন বাবা মো. আবুল হোসেন সরদার। কিন্তু ঢাকায় এসে ছেলের দেখা পাননি। ছেলের সন্ধান চেয়ে আবুল হোসেন সরদার রাজধানীর লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিপি) করেন। এরপর থেকে তিনি ছেলেকে খুঁজে পেতে থানা-পুলিশ, হাসপাতাল, র‍্যাব, গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৪
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।