ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নড়াইলে হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৪
নড়াইলে হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

নড়াইল: নড়াইলের চাঞ্চল্যকর ফিরোজ শেখ হত্যা মামলায় মিন্টু শেখ (৫২) নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে নড়াইলের দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আলমাচ হোসেন মৃধা এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মিন্টু শেখ জেলার কালিয়া উপজেলার মীর্জাপুর গ্রামের ইউনুছ শেখের ছেলে।

এছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা একই গ্রামের মো. রাজা শেখ, মোছা. জরিনা বেগম, মোসা. মিনি বেগম ও মো. লিয়াকত শেখকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন আদালত।

মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্বশত্রুতার জেরে ২০১৩ সালের ২৬ জুলাই সন্ধ্যার পরে আসামি জরিনা ও মিনি বেগম ফিরোজ শেখের স্ত্রী লিপি বেগমকে মারপিট করে গুরুতর জখম করেন তারা। পরে স্থানীয়রা এসে মারপিট থামায় এবং মীমাংসার কথা বলে লিপি বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। কিন্তু আসামি পক্ষের লোকজন মীমাংসা না করে একই বছরের ২৭ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিহত ফিরোজ শেখের বাড়িতে যান মিন্টু শেখ। পরে ফিরোজ শেখকে হত্যার উদ্দেশে লোহার শাবল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন মিন্টু শেখ। এছাড়া অন্যান্য আসামিরা ফিরোজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে এলে আহত ফিরোজের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেলে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই কুদ্দুস শেখ বাদী হয়ে ৩০ জুলাই কালিয়া থানায় মিন্টু শেখসহ পাঁচজনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আসামি মো. মিন্টু শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের বিনাশ্রম দণ্ডের আদেশ দেন এবং অপর চারজন আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাসের আদেশ দেন আদালত।

অন্যদিকে একই আদালতে ১৯৯৬ সালের অপর একটি হত্যা মামলার আসামি মো. সাহেব আলীকে (৫৫) পূর্বের যাবজ্জীবন সাজার রায় বহাল রেখে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। সাহেব আলী জেলার লোহাগড়া থানার মৃত ওসমান আলীর ছেলে।

জানা যায়, ১৯৯৬ সালে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে আসামি মো. সাহেব আলী পলাতক ছিলেন। এরপর ২০০২ সালের ১৭ মে জেলা ও দায়রা জজ আদালত  সাহেব আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। কিন্তু তিনি পলাতক থাকায় রায় কার্যকর হয়নি। আজ সোমবার আগের রায় বহাল রেখে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।