চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের কিশোর পাখিভ্যানচালক রুবেল হোসেন হত্যা মামলার একমাত্র আসামি সোহাগ আহমেদকে (২১) আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (দ্বিতীয়) বিচারক মো. মাসুদ আলী।
দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ আহমেদ সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মাঝেরপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৭ জুন বিকেল ৪টার দিকে কিশোর ভ্যানচালক রুবেলকে সদরের দশমাইল বাজারে ভাড়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বের হন সোহাগ। এসময় প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে কুতুবপুর মর্তুজাপুর গ্রামের মাঠের ভেতর নিয়ে লাঠি দিয়ে মাথায় একাধিক আঘাত করে রুবেলকে হত্যা করেন সোহাগ। হত্যার পর মাঠের একটি খেজুর বাগানে মরদেহ গামছা ও ঘাস দিয়ে ঢেকে রেখে ভ্যানটি নিয়ে ঝিনাইদহের ডাকবাংলা বাজারে বিক্রি করতে যান সোহাগ। সেখানে ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবের একপর্যায়ে ধরা খেতে হবে বুঝতে পেরে ভ্যানটি ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যান তিনি। পরে পুলিশ সোহাগকে আটক করে।
গত বছরের ২৮ জুন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একমাত্র আসামি সোহাগের নামে মামলা হয়। একই বছরের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ তাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালতে বিচারিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২১ জনের মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। তথ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় দেন বিচারক।
এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দীন হাসু জানান, আসামির ফাঁসি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার বয়স বিবেচনায় বিচারক মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৪
এসআই