ঢাকা, বুধবার, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ২৮ আগস্ট ২০২৪, ২২ সফর ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রী ও আ. লীগ নেতাসহ ৫৭ জনের নামে হত্যা মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৪
গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রী ও আ. লীগ নেতাসহ ৫৭ জনের নামে হত্যা মামলা

গাজীপুর: সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৫৭ জনের নামে হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় ১০-১২ জন পুলিশ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।



সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার আলমনগর এলাকার লাল মিয়ার ছেলে মো. ইব্রাহিম বাদী হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, কোনাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমানসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৫৭ জনের নামোল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় ১০-১২ জন অজ্ঞাতপরিচয় নামা পুলিশ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

নিহত হলেন, টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার উত্তরপাড়া আলমনগর এলাকার লাল মিয়ার ছেলে হৃদয় (২০)। নিহত ও মামলার বাদী সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানাধীন হরিনাচালা এলাকায় বাসা ভাড়া থেকে  হৃদয় ও মো. ইব্রাহীম অটোরিকশা চালাতো। ৫ আগস্ট বিকেলে তারা কোনাবাড়ী থানাধীন কুদ্দুছ নগর এঞ্জেল গেইট সংলগ্ন রাস্তার ওপর অবস্থান করছিল। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র জনতা কোনাবাড়ী থেকে কাশিমপুর রোড দিয়ে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিয়ে কোনাবাড়ী থানার দিকে আসতে থাকে। একপর্যায়ে আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, আজমত উল্লাহ খান ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের হুকুমে এজাহারে মামলার আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, লোহার রড, চাপাতি, লাঠি সোটা নিয়া আন্দোলনকারী (নিরস্ত্র) ছাত্র জনতার ওপর আক্রমণ করে। এসময় মামলার বাদী ইব্রাহীম ও তার মামাতো ভাই মো. হৃদয় অটোরিকশা ফেলে রাস্তার পাশে একটি দোকানে আশ্রয় নেয়। একপর্যায়ে অজ্ঞাতপরিচয় পুলিশ সদস্য মো. হৃদয়কে টানাহেঁচড়া করে রাস্তার ওপরে এতে চতুরপাশ থেকে ঘেরাও করে। পরে  আগ্নেয়াস্ত্র তার পেটে ঠেকাইয়া গুলি করে  হত্যা করে এবং মরদেহ গুম করে ফেলে। হত্যার ঘটনাটি অনেকে স্বচক্ষে দেখে এবং ভিডিও করে রাখে।  

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ্ আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৪
আরএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।