ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গাছ না লাগিয়ে ১৬৯ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে রিট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪
গাছ না লাগিয়ে ১৬৯ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে রিট

ঢাকা: তিন বছর মেয়াদি (২০১৭-২০) পুকুর ও খাল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশজুড়ে খাল খননের পর পাড়ে গাছ লাগানো প্রকল্পে গাছ না লাগিয়েই বরাদ্দের ১৬৯ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন নরসিংদীর বাসিন্দা আরিফুর রহমান ভূঁইয়া।

তিনি জানান, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর রিটটি দায়ের করেছি। আগামী ৮ আগস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ ছুটি শুরু হচ্ছে। এ অবকাশ ছুটির মধ্যে এখতিয়ার সম্পন্ন বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানির চেষ্টা করবো। নইলে অবকাশের পর শুনানি হবে।

‘গাছ না লাগিয়েই ১৬৯ কোটি টাকা উত্তোলন’ শিরোনামে গত ৮ জুলাই কালের কণ্ঠে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করা হয়। আবেদনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) পুকুর ও খাল উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকসহ পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন বছর মেয়াদি (২০১৭-২০) পুকুর ও খাল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশজুড়ে খাল খননের পর পাড়ে গাছ লাগানোর কথা ছিল। তবে খাল খনন করা হলেও খালের পাড়ে গাছ না লাগিয়েই তুলে নেওয়া হয়েছে বরাদ্দের ১৬৯ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ কথা বলা হয়েছে কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনে।

আইএমইডির সূত্র উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভূ-উপরস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে এক হাজার ৭৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশজুড়ে পুকুর ও খাল উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। পাড় যাতে ভেঙে না পড়ে সেজন্য এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার খালের পাড়ে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। আর খাল উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের জন্য নির্ধারণ করা হয় ৬৬৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে গত এপ্রিল পর্যন্ত এ খাতে খরচের ১৬৯ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হলেও খননের পর খালের পাড়ে গাছ লাগানো হয়নি। অথচ তুলে নেওয়া হয়েছে গাছ লাগানোর টাকাও।

প্রকল্পটি ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও তিন বছরের প্রকল্পটি সাত বছরেও শেষ হয়নি। দুই দফায় ছয় বছর সময় বাড়িয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আর প্রকল্পের ব্যয় কমিয়ে এক হাজার ৫৯৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৪
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।