নাটোর: নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার পর মরদেহ গুমের ঘটনায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের সবাইকে ৬০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন। এসময় আসামিরা কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নাটোর শহরের বনবেলঘড়িয়া এলাকার নুর ইসলামের ছেলে সেলিম হোসেন, আলতাফ হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরিফ ও আরশেদ আলীর ছেলে মনির হোসেন।
নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (বিশেষ পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, ২০১৬ সালের ২৯ মে শহরতলীর বনবেলঘড়িয়ার একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী সন্ধ্যায় একটি কাজে বাড়ি থেকে বের হয়। এসময় ওই ছাত্রীকে আসামিরা অপহরণ করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। পরে মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে হত্যা করেন তারা। এরপর মরদেহ গুম করেন বখাটেরা। পরে পাটক্ষেত থেকে তার কঙ্কাল উদ্ধারের পর ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। এ ঘটনায় ১৭ জুন নিহত স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় অপহরণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
পরে ২০১৮ সালে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার সেই সময়ের ইন্সপেক্টর মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
দীর্ঘ আট বছর পর মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বৃহস্পতিবার এ সাজা দেন বিচারক। জরিমানার অর্থ ভিকটিমের পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
এসআই