ঢাকা: পুলিশের অতিরিক্ত উপ মহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) প্রলয় কুমার জোয়ারদারের চার দেশে ছয় বাড়ি থাকা নিয়ে অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আবেদনকারী আইনজীবী মো. জিয়া উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
আবেদনে ২০ সেপ্টম্বর ‘চার দেশের ছয় শহরে বাড়ি করেছেন অ্যাডিশনাল ডিআইজি প্রলয় কুমার’ দৈনিক দেশ রুপান্তর প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশের অতিরিক্ত উপ মহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) প্রলয় কুমার জোয়ারদার। তার অপকর্মের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পায়নি কেউ। প্রলয় কুমার জোয়ারদার নেত্রকোণার বারহাট্টা ঝিতন গ্রামের ধলাই নদী দখল করে করেছেন ফিশারি। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৪-৫শ জনকে বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দিয়ে কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ আছে। এছাড়া এলাকায় তৈরি করেছেন আধিপত্যের সাম্রাজ্য। তবে প্রলয় কুমার জোরদারের বাবার দাবি, বিনা টাকায় চাকরি দিয়েছেন তার ছেলে। প্রলয় কুমার জোরদার উপজেলার বারহাট্রা সদর ইউনিয়নের ঝিতন গ্রামের উপেন্দ্র জোরদারের ছেলে।
এলাকায় পরিপাটি একটা বাড়ি ও সামান্য সম্পদ করলেও ঢাকার উত্তরায় সাততলা বাড়িসহ একাধিক ফ্ল্যাটও রয়েছে তার। এছাড়া বিভিন্ন দেশে বাড়ি এবং সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। এর মধ্যে ভারতের কলকাতা, চেন্নাই ও দিল্লিতে বাড়ি করেছেন। তবে তার এক নিকটাত্মীয় মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি দিল্লিতে ডেভেলপার ব্যবসাও করেছেন। বাড়ি করেছেন সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরে ও আমেরিকায়। বিশেষ করে যেখানেই স্ত্রীর চিকিৎসা করেছেন সেখানেই তিনি বাড়ি করেছেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে ছাত্র-জনতাকে দমন করার জন্য অন্যতম পরিকল্পনাকারীও ছিলেন তিনি।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশ কর্মকর্তা অনেকেই আত্মগোপনে চলে যান। এরপর থেকে তারও কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। প্রলয় কুমার জোরদারের সাথে তার পরিবারের কারো কোন যোগাযোগ নেই বলে জানান তার বাবা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
ইএস/এএটি