ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আবু সাঈদ হত্যা: সাবেক ডিআইজি বাতেনসহ ১৪ আসামির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৪
আবু সাঈদ হত্যা: সাবেক ডিআইজি বাতেনসহ ১৪ আসামির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

রংপুর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মামলায় রংপুর রেঞ্জের সেই সময়ের ডিআইজি আব্দুল বাতেনসহ ১৪ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।  

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন ৩০ সেপ্টেম্বর এ আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে গত বুধবার (২ অক্টোবর) এ আদেশ দেন রংপুর মহানগর আমলি আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান।

 

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে মামলার প্যানেল আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান রোকন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  
বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আসামিরা হলেন-রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন, সাবেক সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান, সহকারী পুলিশ কমিশনার ইমরান হোসেন, শিক্ষক মশিউর রহমান ও আসাদুজ্জামান মণ্ডল, এসআই বিভূতিভূষণ, তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, বেরোবি ছাত্রলীগ সভাপতি পামেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামিম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার টগর, বাবুল হোসেন এবং বেরোবি কর্মকর্তা রাফিউর হাসান।

প্যানেল আইনজীবীরা আরও বলেন, বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আসামিরা এখনও গ্রেপ্তার হননি। তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন।  

আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই রমজান আলী ১৮ আগস্ট রংপুর মহানগর তাজহাট আমলী আদালতে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৩০-১৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন অন্য মামলায় গ্রেপ্তার আছেন ঢাকায়। আর ঘটনাস্থলে ফায়ার করা পুলিশ সদস্য এএসআই সৈয়দ আমির আলী ও সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, এটি তদন্তেরই একটি অংশ। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। একই সঙ্গে মামলার অন্যান্য নথিপত্র ও আলামত কালেক্ট করছি। সরকারি কর্মকর্তা গ্রেপ্তারে অনুমতির প্রয়োজন। সেজন্য আদালতকে সব বিষয়ে জানিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।