ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনতে শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, ২ জনের যাবজ্জীবন   

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনতে শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, ২ জনের যাবজ্জীবন 
 

নোয়াখালী: অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় মেহেরাজ হোসেন জিসান (৭) নামে একটি শিশুকে অপহরণ করে হত্যার দায়ে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের দুটি ধারায় এক লাখ ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

 

সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে আবদুর রহিম রনি (২১) ও একই গ্রামের সহিদ উল্যার ছেলে মো. সালমান হোসেন শিবলু (২২)।  

বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় দেন।

মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবারের সূত্র জানায়, জিসান স্থানীয় জিরতলী বাজারের কাসেম উলুম মাদরাসার দ্বিতীয় জামাতের ছাত্র ছিল। ২০১৯ সালের ২১ মার্চ দুপুর ১টার দিকে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপরহরণ করে নিয়ে যান রনি ও তার বন্ধু শিবলু। পরে তাকে জেলার সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের শাহাদাতপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তারা। পরে তার শরীরের অর্ধেক কেটে মাটিতে পুঁতে রেখে নিহতের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেন রনি ও শিবলু। ঘটনার দুদিন পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।  

এ ঘটনায় নিহতের পরিবার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ তদন্ত করে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তাদের নামে অভিযোগপত্র জমা দেয়। আদালত ২২ জনের সাক্ষ্য নেন। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বুধবার এ রায় দেন বিচারক।  

রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মামুনুর রশীদ লাভলু মামলাটি পরিচালনা করেন। তিনি জানান, ভিকটিমের বাবা প্রবাসী ছিলেন। রনি ভিকটিম জিসানের একই বাড়ির দূর সম্পর্কের চাচা হন। মূলত অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন কিনতে রনি তার বন্ধু শিবলুকে নিয়ে শিশুটিকে অপহরণ করেছিলেন। পরে তারা জিনাসকে হত্যা করে ফোনে চাঁদা দাবি করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।