ঢাকা: হত্যা মামলায় ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর রিমান্ড শুনানিকালে আসামিপক্ষের এক আইনজীবী মারধরের শিকার হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার সিএমএম আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির (পিপি) বক্তব্য নিয়ে মন্তব্য করায় তিনি মারধরের শিকার হন।
এদিন আমুকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।
শুনানিতে তিনি বলেন, আমু শেখ হাসিনার বাবাকে বিপথে নিয়েছিলেন। সেভাবেই শেখ হাসিনাকে বিপথে নিয়ে গেছেন। তিনি শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি ১৪ দল নিয়ে মিটিং করেন। তারা সিদ্ধান্ত নেন, যে কোনো মূল্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দমাতে হবে। তারা এই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত। আমরা চাই বাংলাদেশে কোনো শেখ হাসিনা বা ফ্যাসিস্ট আর তৈরি না হোক। আমরা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই। এদের বিচার হলে এই দেশে আর কোনো ফ্যাসিস্ট দল আসবে না।
এসময় রিমান্ড বাতিলসহ জামিন চান আমুর আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, পিপি সাহেবের বক্তব্যে আনন্দিত। তবে এ ধরনের বক্তব্য রাজনৈতিক মঞ্চে দিলে ভালো হতো।
এ সময় পিপির সঙ্গে থাকা আইনজীবীরা উত্তেজিত হয়ে তাকে মারধর শুরু করেন। মারধরের ঘটনায় তিনি আদালতের দরজার সামনে পড়ে যান। একপর্যায়ে তাকে বের করে দেওয়া হয় এজলাস থেকে।
পরে আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে শুনানি চলাকালে আমাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদালত কোনো ব্যবস্থা নেননি। এখানে কোনো ন্যায়বিচার নেই। আমি এর বিচার চাই।
এর আগে বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২৪
কেআই/এইচএ/