ঢাকা, বুধবার, ১৫ মাঘ ১৪৩১, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ রজব ১৪৪৬

আইন ও আদালত

চলন্ত বাসে রুপা ধর্ষণ-হত্যা: আসামিদের সাজা কমল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৫
চলন্ত বাসে রুপা ধর্ষণ-হত্যা: আসামিদের সাজা কমল

ঢাকা: ২০১৭ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রুপাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চালক-হেলপারসহ তিন আসামির সাজা কমিয়েছে হাইকোর্ট।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি তৌফিক ইনামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ রানা। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসান উল্লাহ।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে জাকিয়া সুলতানা রুপাকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

জাকিয়া সুলতানা রুপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রুপাকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর, সুপারভাইজার সফর আলী এবং সহকারী শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে তারা রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন।

২৯ আগস্ট বাসের ৩ সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে ৩১ আগস্ট রুপার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।

এ মামলার বিচার শেষে ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি চার আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের সাত বছরের কারাদণ্ড দেন টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—বাসটির হেলপার শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীর এবং চালক হাবিবুর। এ ছাড়া সুপারভাইজার সফর আলীকে সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জব্দকৃত ছোঁয়া পরিবহনের বাসটি রুপার পরিবারকে হস্তান্তরের নির্দেশও দেন আদালত।

পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য যাবতীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। অপরদিকে আসামিরা আপিল করেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ রানা জানান, এর মধ্যে আকরাম মারা গেছে। চালক হাবিবুরকে ৭ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। শামীম ও জাহাঙ্গীরকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন এবং সফর আলীর ৭ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন আদালত। এ ছাড়া বাসটি মালিক বরাবর হস্তান্তর করতে বলেছেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কিনা সে বিষয়ে তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে পরামর্শ করে  আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৫
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।