ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় প্রবাসফেরত স্বামী হেলাল উদ্দিনকে গলাকেটে হত্যার দায়ে পরকীয়া প্রেমিক ও স্ত্রীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক আলী মনসুর এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নিহতের স্ত্রী হাফিজা খাতুন (৪০) ও তার পরকীয়া প্রেমিক ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরখরিচা গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মাসুদ (৪৯)। এর মধ্যে আসামি হাফিজা খাতুনের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা হলেও এখনো পলাতক রয়েছেন অপর আসামি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। আরমান নামের আরও এক আসামি ইতোমধ্যে মারা যাওয়ায় আদালত তাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম রাজীব খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণে আসামিরা অভিযুক্ত হওয়ায় বিচারক তাদের আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে আসামিদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ উল্লেখ করে রাজীব আরও জানান, বিগত ২৩ বছর আগে দণ্ডপ্রাপ্ত হাফিজার সঙ্গে মুক্তাগাছা উপজেলার ভাবকী গ্রামের মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিনের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুইটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এরই মাঝে হেলাল জীবিকার তাগিদে প্রবাসে চলে গেলে হাফিজা ডেসটিনিতে ভর্তি হয়ে আসামি আব্দুল্লাহ আল মাসুদের অধীনে কাজ শুরু করেন। এতে মাসুমের সঙ্গে হাফিজার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠলে বিভিন্ন সময় বিয়ের আশ্বাসে নগদ টাকা ও স্বর্ণের অলংকার হাতিয়ে নেন মাসুম। এরপর হেলাল উদ্দিন প্রবাস থেকে ফিরে এলে আসামিরা হেলালকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে খুন করেন। পরে ‘ডাকাত খুন করেছে’, বলে প্রচার করতে থাকেন। পরে মামলার তদন্তে এ হত্যাকাণ্ডের মূলরহস্য প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫
এএটি