ঢাকা, বুধবার, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ১২ মার্চ ২০২৫, ১১ রমজান ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হত্যা মামলা: কলমাকান্দায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, অপরজনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৫
হত্যা মামলা: কলমাকান্দায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, অপরজনের যাবজ্জীবন

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ব্যবসায়ী মিলন মিয়াকে গলা কেটে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে নেত্রকোনার জেলা ও দায়রা জজ মো. হাফিজুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কলমাকান্দা উপজেলার কালাইকান্দি মো. মজিবুর রহমানের ছেলে মো. শাহজাহান মিয়া। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- হরিণাকুন্ড গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে আবুল বাশার ওরফে বাদশা মিয়া।  

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে জানা যায়, কলমাকান্দা উপজেলার কালাইকাম্দি গ্রামের কালাচাঁন মিয়ার ছেলে কাপড়ের দোকান, টেইলার্স, বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী মিলন মিয়া ও তারই পার্শ্ববর্তী দোকানদার একই গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান মিয়ার মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। ঘটনার দু-তিনদিন আগে মিলন পাওনা দেড় লাখ টাকা দিতে চাপ দিলে শাহজাহান মিয়া তার মোটরসাইকেল বিক্রি করে টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেন। ২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে মিলন মিয়া রাতের খাওয়া শেষ করে নিজ বসত ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন ভোরে তার মা সাজেদা খাতুন ছেলেকে ঘরে দেখতে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রক্তমাখা ছেলের পরিধেয় কাপড় টিউবওয়েলের পাশে পড়ে থাকতে দেখে ডাক চিৎকার শুরু করেন। সেসময় আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এসে শাহজাহানের দোকানের পেছনে একটি ডোবায় মিলন মিয়ার গলা কাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে। বিচারক আদালতে উপস্থাপিত কাগজপত্র ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় শাহজাহান মিয়াকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন এবং অপর আসামি আবুল বাশার ওরফে বাদশা মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান ও মানবেন্দ্র বিশ্বাস উজ্জ্বল।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৫
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।