ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ জুন ২০২৫, ১৯ জিলহজ ১৪৪৬

আইন ও আদালত

স্ত্রী-সন্তানসহ আ. লীগ নেতা পিকুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:০১, জুন ১৫, ২০২৫
স্ত্রী-সন্তানসহ আ. লীগ নেতা পিকুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

যশোর: দায়িত্বে থাকাকালে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় যশোর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুজ্জামান পিকুল, তার স্ত্রী শেফালী জামান ও দুই ছেলে তানজীব নওশাদ পল্লব এবং তানভীর নওশাদ অর্ণবের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
 
 রোববার (১৫ জুন) যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা জজ) নাজমুল আলম এ আদেশ দেন।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনজীবী আশরাফুল আলম বিপ্লব।

সাইফুজ্জামান পিকুলের বড় ছেলে তানজীব নওশাদ পল্লব নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের যশোর জেলা সাধারণ সম্পাদক। গত বছরের ২৩ আগস্ট তিনি বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক হন। পরে জামিনে বের হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে শোনা যায়।

প্রধান অভিযুক্ত সাইফুজ্জামান পিকুল শেখ হাসিনার পতনের পরপরই ভারতে পালিয়ে যান বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তার স্ত্রী শেফালী জামান ও ছোট ছেলে তানভীর নওশাদ অর্ণব কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারেন না। তবে তাদের দীর্ঘদিন যশোরে দেখা যাচ্ছে না।

দুদক যশোর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক এবং অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে আসামি সাইফুজ্জামান পিকুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।  

তিনি জানান, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাইফুজ্জামান পিকুলসহ তার স্ত্রী ও সন্তানদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ চেয়ে তিনি ২৯ মে আদালতে সাইফুজ্জামান পিকুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেছিলেন।

দুদক সূত্রে জানা যায়, সাইফুজ্জামান পিকুল যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে সড়ক ও মহাসড়কের হাজারো গাছ বিক্রি ও বিভিন্ন প্রকল্পের কোটি কোটি লোপাট করেছেন। সে সময়ে তিনি নিয়োগ বাণিজ্য, জমি ইজারা ও দোকান বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভুত সম্পদ অর্জন করেছেন।

প্রসঙ্গত, সাইফুজ্জামান পিকুল যশোরবাসীর কাছে গাছখেকো পিকুল নামে পরিচিত। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা তাকে যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বসানোর পরপরই তিনি থাবা বিস্তার করেন জেলার সড়ক, মহাসড়কের গাছের ওপর। যতদিন তিনি দায়িত্বে ছিলেন ততদিনে হাজারো গাছ অবৈধভাবে কেটে বিক্রি করেছেন।

এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।