ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদ নিয়ে রায় ২২ নভেম্বর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদ নিয়ে রায় ২২ নভেম্বর

ফেনী-২ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনের রায় আগামী ২২ নভেম্বর দেবেন হাইকোর্ট।

ঢাকা: ফেনী-২ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনের রায় আগামী ২২ নভেম্বর দেবেন হাইকোর্ট।

শুনানি শেষে সোমবার (১৪ নভেম্বর) রায়ের এ দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে নিজাম হাজারীর পক্ষে শুনানি করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও নূরুল ইসলাম সুজন। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী টিকু।

‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে ২০১৪ সালের ১০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়৷
 
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু দুই বছর ১০ মাস কম সাজা খেটে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
 
পরে ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।

রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৮ জুন রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
 
গত ৩ আগস্ট এ রুলের শুনানি শেষে ১৭ আগস্ট সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদ থাকবে কি-না সে বিষয়ে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট। তবে বিচারিক আদালতের একটি নথি না আসায় রায়ের দিন পিছিয়ে ২৩ আগস্ট ধার্য করা হয়। অস্ত্র মামলায় বিচার শুরুর আগে নিজাম হাজারী কতোদিন জেল খেটেছেন সে বিষয়ে নথি না পাওয়ায় সেদিন রায় দেননি আদালত। ২৩ আগস্টের আগেই সেটি দাখিল করবেন হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার এবং এর ভিত্তিতে ওইদিন রায় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
 
২৩ আগস্ট ওই নথিটি দাখিলের পর সেটি নিয়ে শুনানি শেষে ৩০ আগস্ট রায়ের দিন পুনর্নিধারণ করেন হাইকোর্ট।

গত ৩০ আগস্ট রায় দিতে শুরু করেছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু এর মধ্যে কারাগারে রক্তদান করায় নিজাম উদ্দিন হাজারীর কতোদিন রেয়াত পেয়েছিলেন সে প্রশ্ন ওঠায় আদালত রায় স্থগিত করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। গত ০৩ নভেম্বর ওই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
 
রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬(২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে। সে হিসেবে নিজাম হাজারী ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্য হতে পারেন না। অথচ তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।