ঢাকা: সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় কারাবন্দী হবিগঞ্জের পৌর মেয়র (সাময়িক বরখাস্ত) ও বিএনপি নেতা জি কে গউছকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন মাসুদ রানা।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি এক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গউছকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে ঈদ পরবর্তী এক জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলার শিকার হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার দিন মধ্যরাতের পর হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন।
প্রথমে সিআইডির এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২০ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এরপর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আদালতের নির্দেশে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম এ মামলার অধিকতর তদন্ত করে ২০১১ সালের ২০ জুন আরও ১৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আগের আসামিদেরও এতে রাখা হয়।
কিন্তু ২০১১ সালের ২৮ জুন কিবরিয়ার স্ত্রী আসমা কিবরিয়া অভিযোগপত্রের ওপর হবিগঞ্জের বিচারিক আদালতে নারাজি আবেদন করেন।
২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি নারাজি আবেদন গ্রহণ করে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডির এএসপি মেহেরুন নেছা ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের পৌর মেয়র জি কে গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে কিবরিয়া হত্যা মামলার সংশোধিত সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন। নতুন আসামিদের নিয়ে এ মামলায় আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫ জনে।
এরপর ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর ওই ১১ জনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরোয়ানা জারির পর একই বছরের ২৬ ডিসেম্বর জি কে গউছ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সেই থেকে তিনি কারাবন্দী রয়েছেন। সবশেষ গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর দ্রুত বিচার আদালত গউছের জামিন না মঞ্জুর করেন। বিচারিক আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন গউছ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
ইএস/জেডএস