ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হাইকোর্টে হাজিরা দিলেন গাইবান্ধার এসপি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৭
হাইকোর্টে হাজিরা দিলেন গাইবান্ধার এসপি

ঢাকা: সাঁওতালদের ওপর হামলার ঘটনায় দেওয়া প্রতিবেদনে ‘বাঙালি দুস্কৃতিকারী’ শব্দ ব্যবহারের বিষয়ে আদালতের তলবে হাইকোর্টে হাজিরা দিয়েছেন গাইবান্ধার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আশরাফুল ইসলাম।
 

সোমবার (০২ জানুয়ারি) বিচারপতির মৃত্যুতে আদালত বন্ধ থাকায় তিনি রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে হাজিরা দেন। এ সময় তিনি একটি লিখিত আবেদনও দেন।


 
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, গাইবান্ধার এসপি ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে এসেছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে ছুটি ঘোষণা করায় তিনি রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে হাজিরা দেন। তার হাজিরার বিষয়টি আদালতকে অবগত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিতভাবে অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।     
 
তিনি আরও বলেন, হাইকোর্টের যে বেঞ্চ এসপিকে তলব করেছিলেন, সে বেঞ্চের বিচারিক এখতিয়ার পরিবর্তিত হয়েছে। বিষয়টি শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি এখন নতুন বেঞ্চে পাঠাবেন।
 
গত বছরের ০৬ নভেম্বর রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে কলের শ্রমিক-কর্মচারী ও সাঁওতালদের সংঘর্ষ থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। এতে তিনজন সাঁওতাল নিহত হন, আহত হন অনেকে।
 
পরে পুলিশ-র্যাব ওইদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মিলের জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদ করে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর সাঁওতালদের জান-মাল রক্ষা, নিরাপত্তা, ক্ষতিপূরণ ও স্বাধীনভাবে চলাফেরার সুযোগ দিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ১৬ নভেম্বর আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) ও ব্রতী সমাজ কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে রিট দায়ের করা হয়।
 
এ রিটের শুনানি নিয়ে পরদিন ১৭ নভেম্বর সাঁওতালদের ধান কাটার সুযোগ দিতে অথবা ধান কেটে সাঁওতালদের বুঝিয়ে দিতে চিনিকল কর্তৃপক্ষসহ বিবাদীদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
 
একইসঙ্গে সাঁওতালদের অবাধে চলাফেরার অধিকার নিশ্চিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি হামলার ঘটনায় ক’টি মামলা হয়েছে, কারা কারা আসামি রয়েছেন, সে বিষয়ে ৩০ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলে গাইবান্ধার এসপি ও ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
 
গত বছরের ৩০ নভেম্বর জেলা প্রশাসক ও পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা প্রতিবেদন দাখিল করেন।

জেলা প্রশাসকের দেওয়া প্রতিবেদনে ‘বাঙালি দুস্কৃতিকারী’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। এটি দেখে আদালত ডিসিকে তলব করেন। ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি)। আদালত ডিসিকে অব্যাহতি দিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের শব্দ ব্যবহারে সতর্ক করে দিয়েছেন।

কিন্তু আদালতে তিনি বলেছেন, এসপির দেওয়া প্রতিবেদনের তথ্যমতে তিনি এ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
 
এরপর গাইবান্ধার এসপিকে তলব করেন হাইকোর্ট।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।