ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

যশোর কালেক্টরেট চত্বরে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৭
যশোর কালেক্টরেট চত্বরে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ

ঢাকা: যশোর কালেক্টরেট চত্বরে কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নামে নির্মাণ করা অননুমোদিত দোকান সাত দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
 
 

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার (০৪ জানুয়ারি) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
 
৩ জানুয়ারি রিট আবেদনটি দায়ের করেন যশোর বারের আইনজীবী মাহবুব আলম।


 
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন মো. উজ্জল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
 
উজ্জল হোসেন বলেন, যশোর কালেক্টরেট চত্বরে কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নামে নির্মাণ করা হচ্ছে দোকান। এ নির্মাণ কাজ বন্ধে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ ও জেলা প্রশাসককে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
 
ওইসব প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যশোর শহরে কালেক্টরেট চত্বরের পূর্বপাশে মুজিব সড়ক ঘেঁষে নির্মাণ করা হচ্ছে পাকা ভবন। সাত রুমের এ ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধে ১৫ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। যশোরের ৩৬ জন আইনজীবী স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাংলার প্রথম জেলা যশোরের জিরো পয়েন্টে বিশাল এলাকাজুড়ে প্রতিষ্ঠিত ৩৬০ দুয়ারি ইতিহাসখ্যাত কালেক্টরেট ভবন অবস্থিত। বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্রের ফলে ভবনটি ধ্বংসের সম্মুখীন। ভবনে রয়েছে জেলার প্রধান কোষাগার (ট্রেজারি)। যেখানে রয়েছে শত শত কোটি টাকার সম্পদ। এ সম্পদ ও কালেক্টরেট ভবনকে সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ভবনের পাশে একটি পুলিশ ব্যারাক নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে কালেক্টরেট পুকুর পাড়ে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়। একইসঙ্গে পুরান কাপড় বিক্রি হকারদের জন্য মসজিদের সামনে জায়গা নির্ধারণ করা হয়। ’
 
‘এর মধ্যে আধাপাকা ভবন নির্মাণ হচ্ছে। ভবনের জায়গায় তিন মেহগনি গাছ রয়েছে। গাছগুলো রেখেই ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। গাছ কাটার অনুমতি মেলেনি। ’

কালেক্টরেট কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বলেন, ডিসি স্যার আমাদের ওই বিল্ডিং করতে বলেছেন। তবে লিখিত কোনো অনুমতি দেননি।  

এ ব্যাপারে যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ সঠিক নয়। কর্মচারী কল্যাণ সমিতি আকা-পাকা টিনশেড নির্মাণ করছে। তবে তাদের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ’
 
উজ্জল হোসেন বলেন, হাইকোর্ট অননুমোদিত স্থাপনা সাত দিনের মধ্যে সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন। এবং বিষয়টি তদন্ত করতে দুদককেও নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি রুল জারি করেছেন। রুলে অননুমোদিত স্থাপনা নির্মাণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নেওয়া কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
 
রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে, জনপ্রশাসন সচিব, ভূমি সচিব, যশোরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৭
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।