আসামিরা হলেন- ইসহাক সিকদার, আব্দুল গনি হাওলাদার, মো. আব্দুল আওয়াল ওরফে মৌলভি আওয়াল, আব্দুস সাত্তার প্যাদা ও সোলায়মান মৃধা।
সব আসামিই গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।
সোমবার (০৯ জানুয়ারি) অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে শুনানি করেন অভিযোগ গঠনের বিপক্ষে তাদের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
গত বছরের ০৪ মে ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা। এর ভিত্তিতে ১৩ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করেন প্রসিকিউশন।
তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ১৫ নারীকে ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে এখনো ৮ জন বীরাঙ্গনা জীবিত আছেন।
এ মামলার তদন্ত শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর। ১ বছর ৫ মাস ৯ দিন তদন্ত করে ৫০৮ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সত্য রঞ্জন রায়। মামলার অভিযোগ প্রমাণের জন্য ৫১ জনের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, যারা সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেবেন।
২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর ০১ অক্টোবর তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯,২০১৭
ইএস/এএসআর