সোমবার (০৯ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত অনুমোদন পত্রে সই করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যুগ্ম-সচিব মুনির চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এটা একটি জটিল বিষয়। আমাদের জন্য এটি নতুন। আমাদের এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার অভিজ্ঞতা প্রায় নেই। তবে ভারতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাটপণ্য রফতানির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরই সে দেশের আদালতে গিয়ে আপিল করতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অনুমতিপত্র আজই (৯ জানুয়ারি) ট্যারিফ কমিশনে পাঠানো হচ্ছে। এ পত্রে বাণ্যিজ্যমন্ত্রী প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
মুনির চৌধুরী জানান, কয়েক বছর আগে একবার ব্যাটারির ওপর এমন একটি কর আরোপ করেছিলো ভারত। তখনও আমরা আদালতে গিয়েছিলাম। সে সময় আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছিলো।
‘আদালত ব্যবসায়ীদের সব ধরনের টেকনিক্যাল ও লজিস্ট্রিক সাপোর্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মামলায় ব্যাবসায়ীরা হেরে গেলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বারস্থ হতে হবে বাংলাদেশকে। তখন রাষ্ট্রকেই দায় নিতে হবে বিষয়টি মীমাংসার’- যোগ করেন মুনির চৌধুরী।
এদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অন্য এক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় একদমই প্রস্তত নয় সরকার। অ্যান্টি ডাম্পিং সেল, বিশেষজ্ঞ, আইনজ্ঞ, ব্যবসায়িক পর্যায়ের অভিজ্ঞতা, এমন কি অবকাঠামো কোনো কিছুই নেই। দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে ট্যারিফ কমিশনকে নির্দেশনা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ভারত এরইমধ্যে এ বিষয়ে ‘অডিটর জেনারেল’ সমমর্যাদায় একটি স্বতন্ত্র কমিশন গঠন করেছে। অথচ বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত একটি সেলও গঠন করতে পারেনি।
মুনির চৌধুরী বলেন, দ্রুত বিশেষজ্ঞ তৈরি করতে না পারলে রফতানি বাণিজ্যে বিপদে পড়বে বাংলাদেশ। কারণ কেবল ভারতই নয়, ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশও অ্যান্টি ডাম্পিং কর আরোপ করছে। ফলে এগুলো বিশেষজ্ঞ পর্যায়েই মোকাবেলা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৬
আরএম/টিআই