বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবারের (১০ জানুয়ারি) কার্যতালিকায় আবেদনটি ১২৭ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
খালেদার জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার অভিযোগ আমলে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয়, এতো লাখ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে, আসলে কতো লাখ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই কিতাবে নানা রকম তথ্য আছে’।
এরপর ২৩ ডিসেম্বর বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্যে ‘দেশদ্রোহী’ মনোভাব পাওয়া যাচ্ছে অভিযোগ করে তা প্রত্যাহার করতে উকিল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারা অনুসারে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানান তিনি।
গত বছরের ২১ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদন দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২৪ জানুয়ারি এ অনুমোদনের চিঠি হাতে পেয়ে ২৫ জানুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী।
ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদার ওইদিনই মামলা আমলে নিয়ে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। এরপর এ মামলায় জামিন নেন খালেদা।
গত বছরের ১০ আগস্ট এ মামলায় অভিযোগপত্র আমলে নেন বিচারিক আদালত। আগামী ০১ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। ওইদিন খালেদাকে হাজির হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
ইএস/এএসআর