ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হাইকোর্টে রমনা বটমূলের মামলার ‍যুক্তিতর্ক চলছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
হাইকোর্টে রমনা বটমূলের মামলার ‍যুক্তিতর্ক চলছে

ঢাকা: রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে।
 

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়।
 
রাষ্ট্রপক্ষে ৬১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ৩ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি উপস্থাপনের পর এ যুক্তিতর্ক শুরু হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আরিফ হাসান সুমনের পক্ষে আইনজীবী সুজিত চ্যাটার্জি, যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহাদাতুল্লাহ ওরফে জুয়েলের পক্ষে আইনজীবী মো. আজিজুল হক হাওলাদার, দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ৫ আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত কৌসুলি এসএম শফিকুল ইসলাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন। পরে এ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি মুফতি আব্দুল হান্নানের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন তার আইনজীবী মোহাম্মদ আলী।
 
রোববার (০৮ জানুয়ারি) এ মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।
 
এ মামলায় বিচারিক আদালত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।
 
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির‍া হলেন- মুফতি আব্দুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মাওলানা আবদুল হাই ও মাওলানা শফিকুর রহমান।
 
তাদের মধ্যে মুফতি আব্দুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন ও মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক রয়েছেন।
 
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, মাওলানা সাব্বির, শেখ ফরিদ, মাওলানা আব্দুর রউফ, মাওলানা ইয়াহিয়া ও মাওলানা আবু তাহের।
 
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। এ হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন।
 
এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা করেন।
 
২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এরপর ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে।
 
হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হলেও বিস্ফোরক মামলাটি ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।