তিন আসামি হলেন- শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকার হেদায়েত উল্লাহ ওরফে মো. হেদায়েতুল্লাহ ওরফে আঞ্জু বিএসসি (৮০), রাজাকার এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু (৭০), রাজাকার সোহরাব ফকির ওরফে সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপ আলী (৮৮)।
আঞ্জু-মঞ্জু দুই ভাই।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে ৩ বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নী। আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা।
তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ এবং দেশত্যাগে বাধ্য করার ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার মধুয়াখারী, মোবারকপুর ও সুখারী গ্রাম এবং মদন উপজেলার মদন গ্রামে তারা এসব অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
আসামিদের তিনজনই একাত্তরে জামায়াতের কর্মী ছিলেন। তাদের মধ্যে আঞ্জু-মঞ্জু এখনো জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
৪০ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন তিন রাজাকারের বিরুদ্ধে।
আসামি তিনজনের বাড়িই নেত্রকোনার আটপাড়া থানার কুলশ্রীতে। তবে আঞ্জু থাকেন রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার হেতেম খাঁ মেথরপাড়ায়। ছোরাপের বসবাস ছিলো একই জেলার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুরে।
গত বছরের ০৮ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা।
গত বছরের ০৮ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ছোরাপ ও মঞ্জুকে গ্রেফতার করা হলেও আঞ্জু এখনো পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
ইএস/এএসআর