এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসহ রুল জারি করেন।
এছাড়াও মার্কেট নির্মাণ করতে গিয়ে ভেঙে ফেলা স্কুলের সীমানাপ্রাচীর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এ রিট করেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আশরাফুল হাদী।
রুলে মার্কেট নির্মাণে রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিব, পরিকল্পনা সচিব, শিক্ষা সচিব, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্রনায়ক মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী ১৯২৪ সালে নিজগ্রামে এ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ প্রস্তুতিকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ ওই বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধারা দক্ষিণ চট্টগ্রামের মায়ানমার সীমান্ত পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের সমন্বয় করেন।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে বিদ্যালয়ের মাঠটিতে মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণও করেন। প্রায় শতবর্ষী এ বিদ্যালয়ের সাবেক অনেক শিক্ষার্থী বর্তমানে বিশ্ব ও জাতীয় পর্যায়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন। বরকল স্কুলের অনির্বাচিত স্কুল পরিচালনা পর্ষদের একটি অংশ তথাকথিত আয়বর্ধক প্রকল্পের নামে এলাকার সংসদ সদস্যকে ভুল তথ্য দিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশপথ ও মাঠ ঘিরে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এছাড়া বাণিজ্যিক ভবনে নামে-বেনামে নিজেদের মধ্যে দোকান বরাদ্দ দিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিলে মেতে উঠেছে। ‘মওলানা মনিরুজ্জামান ইসালামাবাদী বিপণী বিতান’ নাম দিয়ে শুরু করা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী, এতদাঞ্চলের সর্বস্তরের জনগোষ্ঠী ও বিশেষত কিশোর-তরুণ সমাজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৭
ইএস/এএটি/এএ