বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বরিশালের দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক রকিবুল ইসলাম ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মাহমুদ হাসান হাফিজ ঝালকাঠি জেলার গুয়াটন এলাকার বাসিন্দা মাওলানা আব্দুস সোবাহানের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় হানিফ হাওলাদার তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে হানিফের দুই মেয়েকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন মাহমুদ হাসান ও তার সহপাঠীরা।
২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে হানিফের দুই মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে মাহমুদ হাসান ও তার সহপাঠীরা। এসময় হানিফ তার ছেলে আল-আমিনকে নিয়ে প্রতিবাদ করতে মাদ্রাসায় যান। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে আল আমিনকে গলা কেটে হত্যা করে।
ওই দিনই সন্ধ্যায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় এ ঘটনায় হাফিজসহ ৬ সহপাঠীর বিরুদ্ধে হানিফ হাওলাদারের স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের সাড়ে ৫ মাস পর কোতোয়ালি মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোশারেফ হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষ ২৬ জনের মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন।
এদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি সোলায়মান, নাজমুল, মাইদুল, সাহিদুল ও জাহিদুলকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন দিলু এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ টিপু সুলতান ও মজিবুর রহমান সবুজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৭
এমএস/আরএ