বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-রংপুরের পীরগছা উপজেলার মৃত ইছাহাক আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৪০), একই উপজেলার রামপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হান্নানের ছেলে জুয়েল মিয়া (৩২), আব্দুল জলিলের ছেলে সুজন মিয়া (৪২) ও বগুড়ার মাটি ডালি এলাকার জোবেদ আলীর ছেলে শাহিন মিয়া (৪৫)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলার বড় পানশিয়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে স্টুডিও ব্যবসায়ী চুন্নু মিয়ার (৪৫) সঙ্গে আসামিদের ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব ছিল। এর জের ধরে ২০১২ সালের ২৩ আগস্ট রাতে চুন্নু মিয়াকে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয় আসামি জুয়েল। এর পর চুন্নু মিয়া আর বাড়ি ফিরে আসেনি।
পরদিন সকালে মিঠাপুকুর উপজেলার জালালগঞ্জ গড়াল চৌকি এলাকা থেকে চুন্নু মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় চুন্নু মিয়ার বড়ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় ৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরীগাছা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বুধবার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামি সিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে ৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। মামলা অপর আসামি আলম ওরফে আসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ফারুক মো. রেয়াজুল করিম এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রইস উদ্দিন বাদশা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৭
আরএ