তিনি বলেন, ‘ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে গত ১১ জানুয়ারি হাইকোর্টে একটি রিট করেছি। ওই রিটটি রোববার (২৯ জানুয়ারি) শুনানির জন্য বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চের কার্যতালিকায় রয়েছে।
ইউনুছ আলী আরও বলেন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশন গঠন ও দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সংবিধান ও আইনের অধীনে পরিচালিত হওয়ার কথা বলা থাকলেও এখন পর্যন্ত আইন প্রণয়ন করা হয়নি। একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সংবিধানের বিধানের বাইরে চলতে পারে না। আর আইনে সার্চ কমিটির কথাই নেই। তাই সার্চ কমিটি গঠন করে যে গেজেট জারি হয়েছে, তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে’।
নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘(১) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোন আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করিবেন’।
‘(৪) নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন এবং কেবল এই সংবিধান ও আইনের অধীন হইবেন’।
গত ২৫ জানুয়ারি জারি করা গেজেটে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি (সার্চ কমিটি) গঠিত হয়। কমিটির প্রধান করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে। বর্তমান ইসি গঠনে গতবারও একই দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
সদস্য হিসেবে রয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান ড.মোহাম্ম সাদিক, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীণ আখতার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৭
ইএস/এএসআর