এ সময় পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত থাকবে।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্টপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ০৩ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে এ সময়ের মধ্যে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলেছিলেন আপিল বিভাগ। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ের অনুলিপি না পাওয়ায় লিভ টু আপিল করতে এক সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। পরে আদালত এক সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন এম মনজুর আলম।
২০১২ সালে সরকার ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের টিউশনের ওপরে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ করারোপ করে। ২০১৫ সালে তা বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়।
এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সানবিম স্কুলের শিক্ষার্থী ফাইজুল ইসলাম ও সানিডেল স্কুলের শিক্ষার্থী সেলিম আজমের অভিভাবকরা ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রিট দায়ের করেন। এ রিটের শুনানি নিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ভ্যাট আরোপ স্থগিত করে রুল জারি করেন। পরে অবশ্য হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ ১৪ অক্টোবর স্থগিত করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও মো. মজিবুর রহমান মিয়ার হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন। পরে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৭
ইএস/এএসআর