বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে এ শুনানি শুরু হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে পেপারবুক থেকে উপস্থাপন করছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে একই হাইকোর্ট বেঞ্চে শেষ পর্যায়ে রয়েছে খুলনার শিশু রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্সের শুনানি।
এ দু’টি শেষ হলে পুলিশ দম্পতি হত্যায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তাদের মেয়ে ঐশী রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলাটির ডেথ রেফারেন্সের শুনানিও শুরু হবে একই বেঞ্চে।
দেশের ইতিহাসে বিচারিক আদালতে স্বল্প সময়ে বিচার নিশ্চিত হওয়ার পর হাইকোর্টেও দ্রুত বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয় শিশু রাজন ও রাকিব হত্যা মামলার। এ দু’টির সঙ্গে যোগ হয় ঐশীর মামলাটিও।
তিনটি মামলায়ই মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হওয়ার পর দ্রুততম সময়েই ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকাভূক্ত হয়।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চে গত বছরের ৩১ অক্টোবরের কার্যতালিকায় মামলাগুলো তালিকাভূক্ত হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে শুনানির দিন ধার্য করছেন উচ্চ আদালত।
২০১৫ সালের ০৮ জুলাই সিলেটে চুরির অপবাদ দিয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে এবং ০৩ আগস্ট খুলনায় দোকানে কাজ করতে রাজি না হওয়ায় শিশু রাকিব হাওলাদারকে নির্মম নির্যাতনে হত্যা করা হয়।
খুব অল্প সময়ে বিচারকাজ শেষে একই বছরের ০৮ নভেম্বর একই দিনে এ দুই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারিক আদালত। রায়ে সিলেটে রাজন হত্যার দায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড, একজনকে যাবজ্জীবন এবং বাকি চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত।
খুলনার রাকিব হত্যা মামলায় আদালত দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে খালাস দেন।
এ রায় ঘোষণার দ্বিতীয় দিনে নিম্ন আদালতের রায়ের নথিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে পৌঁছে।
এদিকে একই বছরের ১২ নভেম্বর ঘোষণা করা ঐশীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ও হাইকোর্টে আসে সাতদিনের মধ্যে ১৯ নভেম্বর। পরে এ তিন মামলায় শুনানির জন্য আপিল গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
এরপর রাষ্ট্রীয় প্রকাশনা সংস্থা বিজি প্রেসে আপিল শুনানির জন্য রাজন-রাকিব ও ঐশীর মামলার পেপারবুক তৈরির পর হাইকোর্টে পৌঁছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৭
ইএস/এএসআর