ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

মুক্তিযোদ্ধা বাছাইয়ে চট্টগ্রাম মহানগরসহ দুই কমিটি স্থগিত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৭
মুক্তিযোদ্ধা বাছাইয়ে চট্টগ্রাম মহানগরসহ দুই কমিটি স্থগিত

ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই এর জন্য গঠিত চট্টগ্রাম মহানগর ও বান্দরবানের লামা উপজেলা কমিটির কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির বিষয়ে আদেশ দেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

অপরদিকে, লামা কমিটি নিয়ে আদেশ দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি
গত ১৮ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন এস এম মাহবুবুল আলমসহ দুই মুক্তিযোদ্ধা। এ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।  

তিনি বলেন, ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি গঠন করে পরিপত্র জারি করা হয়। কিন্তু এ কমিটির সভাপতিসহ চার সদস্যের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ রয়েছে। রিটের পর আদালত তিন মাসের জন্য কমিটি স্থগিত করে চার সপ্তাহের জন্য রুল জারি করেন।

লামা উপজেলা
লামা উপজেলা নিয়ে করা রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির।  তিনি বলেন, ১৮ জানুয়ারি এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে দেখা যায়, সভাপতি ও তিনজন সদস্য এই উপজেলাসহ অন্য উপজেলার মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় রয়েছেন। অথচ  কমিটি গঠনের নির্দেশিকা অনুসারে সভাপতি সংশ্লিষ্ট এলাকার মুক্তিযোদ্ধা হতে হবে। এ কারণে কমিটি গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধা এস কে এইচ সাব্বির আহমেদ।

আদালত তিন মাসের জন্য কমিটি স্থগিত করে চার সপ্তাহের জন্য রুল জারি করেছেন।

এর আগে, ৯ জন মুক্তিযোদ্ধার করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই এর জন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের নির্দেশিকা এবং মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।  আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম।

হাসনাত কাইয়ুম জানান, ১২ জানুয়ারি এক গেজেট মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাইয়ের জন্য মহানগর ও জেলায় কমিটি করে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়। এছাড়া ১০ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। পরে গত ৫ জানুয়ারি আরেকটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাছাইয়ের তারিখ পরিবর্তন করা হয়।

এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলমসহ ৯ জন মুক্তিযোদ্ধা রিট করেন।  তাদের দাবি, গেজেট প্রকাশের সময় ওই গেজেটকে চুড়ান্ত তালিকা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক সেই গেজেট বাতিলের ক্ষমতা আইন অনুযায়ী প্রয়োগ করা যেতে পারে।

কিন্তু তা না করে গেজেটভুক্ত সকল মুক্তিযোদ্ধাকে পুনরায় যাচাই বাছাই করার ক্ষমতা আইন অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের নেই। এ কারণে অন্য কাউকে দিয়ে কমিটি করার বিধানও প্রণয়ন করা হয় নাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
ইএস/পিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।