মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
তবে অন্যান্য মামলার আসামির ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে কি-না, সে বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, সকলের ক্ষেত্রে এ রায় প্রযোজ্য হবে কি-না, সেটি পূর্ণাঙ্গ রায় না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
পরে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘২০০১ সালে সাভারে জামান নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২০০৩ সালে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন দ্রুত বিচার আদালত। হাইকোর্টে আপিলের পর বিচারিক আদালতের দণ্ড বহাল থাকে। এরপর আপিলের পর মঙ্গলবার আসামিদের মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন সর্বোচ্চ আদালত’।
‘এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু (ন্যাচারাল লাইফ) কারাবাস। তখন আমি এর প্রতিবাদ করেছি’।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমি বলেছি, দণ্ডবিধির ৫৭ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের অর্থ ৩০ বছর। এছাড়া যাবজ্জীবনের আসামিরা কারাগারে রেয়াত পেয়ে দণ্ড আরও কমে আসে। যদি আমৃত্যু কারাদণ্ডই হয়ে থাকে, তাহলে তাদের রেয়াতের কি হবে? আমি আরও বলেছি, প্রধান বিচারপতির এ মন্তব্য যেন মূল রায়ে না থাকে’।
‘তবে যদি থাকে, তাহলে সব আসামির ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে’।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সাভারের একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন আপিল বিভাগ। তবে আদেশে বলেছেন, যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর নয়, আমৃত্যু কারাদণ্ড। তখন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর। জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, মূল রায়ে এটির ব্যাখ্যা থাকবে’।
তবে অ্যাটর্নি জেনারেলে মতে, ‘এখনি এটা বলা যাবে না যে, যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড। মূল রায় আসার পরে বোঝা যাবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭
ইএস/এএসআর