ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

মৌচাক মার্কেট খোলা রেখেই সংস্কার কাজের নির্দেশ হাইকোর্টের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭
মৌচাক মার্কেট খোলা রেখেই সংস্কার কাজের নির্দেশ হাইকোর্টের

ঢাকা: মৌচাক মার্কেটের সব কিছু স্বাভাবিক রেখেই মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির সংযোগও অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দোকান মালিক সমিতির করা আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রেজা-ই-রাব্বি খন্দকার, মো. সাইফুল ইসলাম ও আফরিন জাহান খান।

পরে রেজা-ই-রাব্বি খন্দকার বলেন, মৌচাক মার্কেটের দোকানপাট বন্ধ রাখার আদেশ আপিল বিভাগ স্থগিত করেছিলো। কিন্তু ২৩ জানুয়ারি রাজউকের এক মিটিংয়ে মৌচাক মার্কেট নিয়ে আলোচনা হয়। যাতে বলা হয়, আদালতের আদেশ থাকলেও তারা অন্য উপায় গ্রহণ করেবেন।

এ আশঙ্কা থেকে মৌচাক মার্কেট বণিক সমিতির পক্ষে সভাপতি দিলদার আহমেদ সেলিম হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন।

তিনি আরও বলেন, এ আবেদনের শুনানি নিয়ে মৌচাক মার্কেটের দোকান খোলা রেখে মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির সংযোগও অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

২০১৪ সালের ৭ মে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ (রাজউক) মৌচাক মার্কেটের ভবন মালিককে একটি চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়, ইমারতটি জীর্ণ ও দৃশ্যত ঝুঁকিপূর্ণ প্রতীয়মান হওয়ায় বুয়েট পুরকৌশল বিভাগ কতৃক পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক কাঠামোগত উপযুক্ততার সনদ গ্রহণ করে চাওয়া তথ্যাদি এই দপ্তরে (রাজউক) দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হল। সেইসঙ্গে ভবনটির কাঠামোগত উপযুক্ততা নিশ্চিত হয়ে ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হলো।

এরপর বুয়েট নিরীক্ষা করে। আর বুয়েটের সুপারিশসহ প্রতিবেদন রাজউকে দাখিল হয়। এর প্রেক্ষিতে রাজউক গত ২ মে ভবন মালিককে আরেকটি চিঠি দেন।

ওই চিঠিতে বলা হয়, বুয়েট প্রণীত কাঠামোগত মূল্যায়ন প্রতিবেদনের পরামর্শ ও কর্তৃপক্ষের ওই নির্দেশনা সত্ত্বেও কাঠামোগত ঝুঁকি হ্রাসে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে দায়িত্বহীনভাবে মার্কেট ব্যবহার অব্যাহত রেখেছেন, যা জীবন ও সম্পদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ইমারত নির্মাণ আইন-১৯৫২ এর সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন।

এ অবস্থায় মার্কেটটির ব্যবহার বন্ধ করে বুয়েট প্রনীত নকশা (Retrofitting Desgin) মোতাবেক বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে (Retrofitting) কাজ অবিলম্বে শুরু করার জন্য পুনরায় নির্দেশ দেওয়া হলো। কাঠামোগত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ব্যবহারের দরুণ যেকোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে একমাত্র আপনিই (মালিক) এবং আপনার ব্যবস্থাপনা দায়ী থাকবে এবং ইমারত নির্মাণ আইন ১৯৫২ অনুযায়ী যথাযথ আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটি চূড়ান্ত নোটিশ বলে গণ্য হবে।

রাজউকের এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মৌচাক মার্কেটের ভবন মালিক আশরাফ কামাল পাশা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

গত বছরের ০৬ জুন ওই রিটের শুনানি নিয়ে ভবন সংস্কার সম্পন্ন বা বিল্ডিং কোড অনুসারে সনদ না পাওয়া পর্যন্ত রাজধানীর মালিবাগের মৌচাক মার্কেটের দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

পরে দোকান মালিক সমিতি আপিলের আবেদনের ওপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।