একইসঙ্গে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ২৮ (১) ও ৪৯ (চ) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ মওকুফের ক্ষমতা কেন অসাংবিধানিক হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে বিবাদী করা হয়েছে অর্থ সচিব, ব্যাংকিং বিভাগের সচিব আইন সচিব, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, মহাহিসাব নীরিক্ষক, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং অপারেশন বিভাগের মহাব্যস্থাপককে।
এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ২ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। বিশেষ বার্তা বাহকের মাধ্যমে আদালতের এ আদেশ সংশ্লিষ্টদের পৌঁছে দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (০১ মার্চ) হাইকোর্টের এ আদেশের বিষয়টি জানিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, উক্ত আদেশ ছাড়াও ঋণ মওকুফ পাওয়া প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করেছেন কিনা, করে থাকলে তার পরিমাণ উল্লেখ করে একই সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি ইংরেজি দৈনিকে ‘দি টা.৩০,০০০ ক্রোর ভ্যানিশিং ট্রিক, ৬০ পার্সেন্ট অব ডিফল্টেড লোনস ফর্ম পাবলিক ব্যাংকস রিটেন অব’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
২৮ ফেব্রুয়ারি এ প্রতিবেদন আমলে নেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শামস-উদ-দোহা ও খায়রুন নেসা।
আইনের ৪৯ (চ) ধারায় বলা হয়েছে, ঋণ শৃঙ্খলার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক সাধারণভাবে সব ব্যাংক-কোম্পানি বা কোন বিশেষ ব্যাংক-কোম্পানি বা বিশেষ শ্রেণীর ব্যাংক-কোম্পানির জন্য ঋণ শ্রেণীকরণ ও সঞ্চিতি সংরক্ষণ, ঋণ মওকুফ, পুনঃতফসিলীকরণ কিংবা পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিষয়গুলো বাধ্যতামূলকভাবে অনুসরণীয় নির্দেশ প্রদান করতে পারবে।
২৮ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে, কোনো ব্যাংক-কোম্পানি তার কাছ থেকে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের গৃহীত ঋণ বা তার অংশ বা তার উপর অর্জিত সুদ মওকুফ করবে না’।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ০১,২০১৭
ইএস /জেডএস