হান্নানের করা আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (০৮ মার্চ) তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন বলে জানান প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন।
তিনি বলেন, বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এমপি হান্নানসহ তার ছেলেকে প্যারোলে মুক্তি দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর এমপি হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এম এ হান্নানসহ (৮০) এ মামলার পাঁচ আসামি গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।
অন্য চারজন হচ্ছেন- এম এ হান্নানের ছেলে রফিক সাজ্জাদ (৬২), ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ (৬৪), মিজানুর রহমান মিন্টু (৬৩) ও মো. হরমুজ আলী (৭৩)। পলাতক তিন আসামি হচ্ছেন- ফখরুজ্জামান (৬১), আব্দুস সাত্তার (৬৪) ও খন্দকার গোলাম রব্বানী (৬৩)।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ২১ এপ্রিল থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ত্রিশাল উপজেলায় তারা অপরাধগুলো সংঘটিত করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
গত বছরের ১১ জুলাই হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন।
একই বছরের ১ অক্টোবর প্রসিকিউশনের আবেদনক্রমে এ মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ওইদিনই ঢাকায় গ্রেফতার হন এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ। ময়মনসিংহ সদর ও ত্রিশালে গ্রেফতার হন বাকি তিনজন।
২০১৫ সালের ১৯ মে এমপি হান্নানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন।
মামলায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ছাড়াও জামায়াত নেতা ফখরুজ্জামান ও গোলাম রব্বানীকে আসামি করা হয়। পরে তদন্তে আরও পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ মামলার আসামি হয়েছেন মোট আটজন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৭
ইএস/জেডএস