একইসঙ্গে ওই প্রতিবেদনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৫৮ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চে বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ) এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল পল্লিতে আগুন লাগানোর ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আশরাফুল ইসলামকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এছাড়া আগুন লাগানোর ঘটনার দিন চামগাড়ি এলাকায় দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছেন। সে অনুসারে এসপিকে প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আদালতে প্রতিবেদন দেন।
প্রতিবেদনের সাওতাল পল্লীর ঘটনায় পুলিশের করা অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মঞ্জুরুল কবির চৌধুরী সাক্ষরিত অনুসন্ধান প্রতিবেদনের মতামত অংশে দুই পুলিশ সদস্য জড়িতের কথা বলা হয়। এছাড়াও আদালতের আদেশ মতে গাইবান্ধা জেলা থেকে ৫৮ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের কথা উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি সাঁওতাল পল্লিতে আগুন লাগানোর জন্য স্থানীয় কয়েকজন এবং ঘটনার সময় দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকজন সদস্যকে দায়ী করে বিচারিক প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। পরে এ বিষয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি আদেশ দেন হাইকোর্ট।
বিচারিক প্রতিবেদনের মতামত অংশে বলা হয়, সাঁওতালদের বাড়িঘরে আগুন লাগানোর জন্য স্থানীয় কয়েকজন এবং ঘটনার সময়ে দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েক সদস্য দায়ী।
সাঁওতালদের জানমাল রক্ষা, গত বছরের ৬ নভেম্বর তাদের ওপর হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা, ক্ষতিপূরণ ও স্বাধীনভাবে চলাফেরার সুযোগ দিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ১৬ নভেম্বর আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) ও ব্রতী সমাজকল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে একটি রিট দায়ের করা হয়।
অন্যদিকে হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় কমিশন চেয়ে গত বছরের ২১ নভেম্বর দ্বিতীয় রিটটি আবেদন করেন আহত দ্বিজেন টুডোর স্ত্রী অলিভিয়া হেমভ্রম ও গণেশ মুরমোর স্ত্রী রুমিলা কিসকুর পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৭
ইএস/এসএইচ