হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ফিনিশড লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববারে (১৯ মার্চ) চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
আগামী ২৩ মার্চ এ আবেদনের শুনানি হবে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী।
গত ০২ মার্চ হাজারীবাগে থাকা ট্যানারির ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বকেয়া জরিমানা দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
গত ২৫ জানুয়ারি ট্যানারির বকেয়া জরিমানার বিষয়ে জানাতে শিল্প সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে তলব করেন হাইকোর্ট। পরে তিনি আদালতকে জানান, ট্যানারিগুলোর বকেয়া জরিমানা দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি ৮৫ লাখ।
দীর্ঘদিন পরও যেসব ট্যানারি হাজারীবাগ থেকে সরিয়ে সাভারে না নেওয়ায় গত বছরের ১৮ জুলাই ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ। শিল্প সচিবকে এ অর্থ আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল।
এরপর অর্থ আদায়ে ‘ব্যর্থতার’ কারণে শিল্প সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে মনজিল মোরসেদ।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট শিল্প সচিবকে তলব করেন।
মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালত শিল্প সচিবকেএ ক্ষতিপূরণ আদায় নিশ্চিত করতে বলেছিলেন। প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন যে, কে কিভাবে টাকাগুলো দিচ্ছে। ১০ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন তারা দাখিল করেছেন, যেখানে দেখা যায়, গত বছরের আগস্ট মাসে ১৫০ কোম্পানি ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে মাত্র চারটি ও অক্টোবরে তিনটি কোম্পানি টাকা দিয়েছে। এতে বোঝা যায়, আদালতের নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না।
আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে হাজারীবাগে ট্যানারি চালু রাখায় গত বছর ১৫৪ প্রতিষ্ঠানের মালিককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা নির্ধারণ করে দেন আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৭
ইএস/এএসআর